মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে বাল্যবিয়ের শিকার হতে চলেছে কিশোরী রুমানা বেগম (১৫)। সে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মটুকোনা গ্রামের ইছমত আলীর মেয়ে। ইতিমধ্যে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, বিশ্বনাথ উপজেলা যখন বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণার দিন-তারিখ ঠিক করা হয় এবং গত ১৪ আগষ্ট দেওকলস ইউনিয়নকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘেষণার পর পরই এই বাল্যবিয়ের আয়োজন নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা ঝড় বইছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হাসনাজী (পাড়ুয়া) গ্রামের নূরুল হকের সাথে বিয়ে ঠিক হয় কিশোরী রোমানা বেগমের। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) ধার্য্য করা হয় বিয়ের দিন। ইতিমধ্যে ধুম ধাম করে বিয়ের সকল আয়োজনও সম্পন্ন করা হয়েছে। রুমানাকে বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার রাতে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়।
মটুকোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুহেলা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রুমানা বেগম ২০১৩ সালে আমাদের বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। স্কুলের ভর্তি রেজিষ্ট্রারে রুমানার জন্ম তারিখ ২০০১ সালের ১১ নভেম্বর।
দেওকলস ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার কাজী মাওলানা আসাদ উদ্দিন বলেন, রুমানা বেগমের জন্ম সনদে বয়স কম হওয়ায় আমি বিয়েটি পড়াতে পারবো না বলে জানিয়েছি।
দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেই সাথে সাথে বিয়েটি ভঙ্গ করতে স্থানীয় মেম্বারকে বলেছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর বলেন, বাল্যবিয়ে ভঙ্গ করতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।