সিরাজী এম আর মোস্তাক
বিচারিক নিয়ম অনুসারে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রাণভিক্ষা আবেদনের সময় দেয়া উচিত। তা কমপক্ষে তিন থেকে সাতদিনও হতে পারে। বাংলাদেশে প্রচলিত বিচার প্রক্রিয়াতেও ত্ইা রয়েছে। আসামীকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত শুনানোর পর থেকে তা গণনা শুরু হয়। তাতে উল্লেখ রয়েছে, একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি তার অপরাধের জন্য প্রাণভিক্ষার আবেদন করবে কিনা, তা অনেক ভাবার বিষয়। আর রাষ্ট্রপতিও তা বিবেচনা করার জন্য বেশ সময় পান। তা কোনোমতেই তিনদিনের কম নয়। এটাই সুবিচারের লক্ষণ।
এই মুহুর্তে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির প্রক্রিয়া চলছে। সম্পুর্ণ অন্যায়ভাবে তা কার্যকর করা হচ্ছে। গতকাল রাতে আসামীকে রায় শোনানোর পর থেকে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই রাতারাতি ফাঁসি কার্যকরের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে কর্মকর্তাদেরকে সময়মতো কার্যস্থলেই পাওয়া যায়না, ঠিক সেখানে তারা নিশি রাতেও কাজ করে যাচ্ছেন। এটা বিচারবিভাগীয় হত্যাকান্ড ছাড়া আর কিছুই নয়। নিজামীকে আইনগত সুবিধা থেকে বি ত করে সরকার হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মনে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন, দীর্ঘ পয়তাল্লিশ বছর পরে হলেও যে বিচার করা হচ্ছে, তা যথাযথ আইন মেনেই সম্পন্ন করুন। বিচার বিভাগীয় হত্যাকান্ড থেকে বিরত থাকুন।
(ইহা লেখকের একান্ত ব্যক্তি গতমত,প্রকাশক বা সম্পাদক দায়ী নহে)
সিরাজী এম আর মোস্তাক
এ্যাডভোকেট, ঢাকা