আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সারা বিশ্বে জাতিসংঘ পরিচালনা করছে অনেক ধরনের শান্তি রক্ষা কার্যক্রম। তাদের সদস্য সংখ্যা যেমন অনেক, অভিযোগও রয়েছে অনেক। ইউএনের নতুন একটি প্রতিবেদন মতে, জাতিসংঘের কর্মীদের বিরুদ্ধে আরও ৯৯টি ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
জাতিসংঘের নতুন এই প্রতিবেদনটি মহাসচিব বান কি-মুন সংবাদ সংস্থা রয়টারসের কাছে প্রকাশ করেছেন গত বৃহস্পতিবার। ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের এই অভিযোগগুলো ওঠে মূলত সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে অবস্থানরত শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই জাতিসংঘ ‘নেইম এন্ড শেইম’ নামের একটি নতুন নীতি চালু করেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয় সেই কারণেই।
প্রতিবেদন মতে, ২০১৫ সালের ৬৯টি অভিযোগই এসেছিল মোট ১০টি শান্তি রক্ষা অভিযানের থেকে। ২১টি দেশের সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা জাতিসংঘের হয়ে শান্তিরক্ষী অভিযান পরিচালনাকালে এই অপরাধগুলো সংগঠন করেছেন বিভিন্ন সময়। বেশিরভাগই ঘটেছে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে, বাকি অভিযোগ উঠেছে ইউরোপ এবং কানাডাতে। ২০১৪ সালে এই অভিযোগের সংখ্যা ছিল ৮০টি।
এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, বুরুন্ডি, জার্মানি, ঘানা, সেনেগাল, মাদাগাস্কার, রোয়ান্ডা, কঙ্গো রিপাবলিক, বুরকিনা ফাসো, ক্যামেরুন, তানজানিয়া, স্লোভাকিয়া, নিজের , মলদোভা, টোগো, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো, বেনিন, নাইজেরিয়া, গ্যাবন এবং কানাডা।
প্রতিবেদনে এই জাতীয় অপরাধের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করা এবং সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, অপরাধী যে দেশেই থাকুক না কেন, সেখানেই তার বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য।
এতদিন পর্যন্ত সাজার ব্যাপারটা নির্ধারণ করতো সেনা বা পুলিশ সদস্যদের নিজ নিজ দেশ। মানবাধিকার কর্মীরা আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছে যে, এই বিচারের কাজটা এতোই গোপনে করা হয়, যে আদৌ বিচার হয়েছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।