ঢাকাঃ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অভিযোগ উঠার বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জঙ্গি সম্পৃক্ততা নিয়ে সাম্প্রতিক সমালোচনার মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থন করে গণমাধ্যমে একটি ব্যাখ্যা প্রকাশ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে প্রকাশিত ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারি, ঢাকা এবং শোলাকিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন, কিশোরগঞ্জে ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ, স্তম্ভিত ও শোকাহত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের ফলে শোলাকিয়া ঈদের জামাতে বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পাশবিক এসব হামলার তীব্র নিন্দা এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’
‘ঘটনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নিবরাস ইসলাম ও আবির রহমানকে জঙ্গি এবং শিক্ষক হিসেবে আবুল হাসনাত রেজা করিমের নাম জঙ্গি সম্পৃক্ততায় উল্লেখ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, নিবরাস ইসলাম ২০১২ এবং আবির রহমান ২০১৫ সালে ছাত্র ছিল। এর পর থেকে এ দুজন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধ্যায়নরত ছাত্র হিসেবে কোনোভাবে সম্পৃক্ত নয়,’ বলে দাবি করা হয় ওই ব্যাখ্যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পরপর দুই সেমিস্টার (৪ মাসে ১ সেমিস্টার) পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী কোর্স নিবন্ধন না করলে তার নাম সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বাদ পড়ে এবং তৃতীয় সেমিস্টারে যৌক্তিক কারণসহ লিখিত আবেদন এবং কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমোদন না থাকলে তার ছাত্রত্ব বাতিল বলে গণ্য হয়। নিবরাস ইসলাম এবং আবির রহমানের ক্ষেত্রেও উল্লেখিত নিয়ম কার্যকর হয়েছে। নিবরাস ও আবির যথাক্রমে ২০১২ এবং ২০১৫ সালের প্রথম সেমিস্টার থেকে অনুপস্থিত এবং তাদের অভিভাবকগণও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি।’RTNN